Sale!
Title ডাবল স্ট্যান্ডার্ড
ডাবল্ স্ট্যান্ডার্ড এর ভূমিকা: সব রকমের প্রশংসা আল্লাহরই যিনি একাই সবকিছু করেছেন, করবেন। অগণিত দরুদ ও সালাম চির-আধুনিক মহামানবের জন্য যাঁকে না মুসলমানরা চিনলাম, আর না অমুসলিমদের চেনাতে পারলাম। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
ডাবল স্ট্যান্ডার্ড স্ট্যা ডা. শামসুল আরেফীন
₹360.00 ₹199.00
Title ডাবল স্ট্যান্ডার্ড
Author ডা. শামসুল আরেফীন
Publisher মাকতাবাতুল আযহার
Edition 2nd Edition, 2019
Number of Pages 192
Country বাংলাদেশ
Language বাংলা
Category: Bengali
Description
ডাবল্ স্ট্যান্ডার্ড এর ভূমিকা: সব রকমের প্রশংসা আল্লাহরই যিনি একাই সবকিছু করেছেন, করবেন। অগণিত দরুদ ও সালাম চির-আধুনিক মহামানবের জন্য যাঁকে না মুসলমানরা চিনলাম, আর না অমুসলিমদের চেনাতে পারলাম। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আর কয়েকজনকে দুআ না করলে অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। আমার সহাদের শুভ্র সালেহ এই বইটার স্বপ্নদ্রষ্টা, বলেছিল ডায়েরির টুকে রাখা চিন্তাগুলোকে মলাটে বাঁধতে; অভিভাবকপ্রতিম আব্দুল্লাহ আল-বাকী ভাইয়ের কাছে পেয়েছি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা; আমার স্ত্রীর উৎসাহ ও দুআ তো ছিলই। ছােটবোনটাও ছিল গল্পের পাঠিকা,যদিও কিছু বুঝতো কিনা আমার সন্দেহ আছে। আরও ধন্যবাদ মাওলানা ওবায়দুল্লাহ আযহারী সাহেবকে যিনি এই ছাইপাশকে প্রকাশের যোগ্য বিবেচনা করেছেন। ধন্যবাদ মাওলানা আব্দুল্লাহ আল ফারুক, মুফতি রাইহান খাইরুল্লাহ ও অনুমোদন করেছেন এই বইকে। ব্যস্ততার মাঝেও যিনি প্রতিটি শব্দ নজরে ছানী করে দিয়েছেন মুফতি আবু সালেহ মোহাম্মদউল্লাহ সাহেব হাফিযাহুল্লাহকে এবং প্রচ্ছদকার আবুল ফাতাহ মুন্না ভাইকে হৃদয় নিংড়ানো দুআ । আল্লাহ আপনাদের সবাইকে আহসানুল জাযা, সর্বোত্তম বদলা দান করুন- আমিন ।
ইসলামের প্রতিটি বিধানই কল্যাণময়। কখনও কোন বিশেষ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কল্যাণময় আবার কখনো বিশেষ বিষয়ে, কল্যাণ আপাতভাবে ধীরগতির (slow dose) হলেও সামষ্টিকভাবে কল্যাণ স্পষ্ট। এজন্য কখনো কখনো মনে হতে পারে যে ইসলামের বিধান এমন কেন? বা এটা ইসলামে অনুমোদিত কেন? গভীর চিন্তা করলে বুঝা যায়, যদিও একপক্ষ বিচারে আপত্তি উত্থাপনের সুযোগ আছে বলে মনে হয়; কিন্তু সামগ্রিকতা বিচারে দেখা যায় এর চেয়ে সুন্দর ও কল্যাণময় বিধান আর হতেই পারেনা। ডাক্তারি ভাষায় বললে, ওষুধের যেমন সাইড এফেক্ট থাকে, আমাদের তৈরি সমাধানগুলো এমন একটা সমাধান করতে গেলে আরেকটা সমস্যা তৈরি হয়। কিন্তু ইসলামের বিধান সাইড-এফেক্ট মুক্ত; যদিও কখনো দ্রুত, কখনো ধীর; কিন্তু সামগ্রিক রোগ আরোগ্য হবেই নো ডাউট। কেননা এ বিধান এসেছে এমন একজনের কাছ থেকে যিনি মানবজীবনের ও মানবসমাজের স্রষ্টা, সমস্যারও স্রষ্টা, ফলাফলেরও স্রষ্টা । তাই সমাধান তার চেয়ে ভাল আর কে দেবে?
প্রথমত, বইটা লেখা আমার নিজের হিদায়াতের জন্য। যাতে ইসলামের যে বিধানগুলোতে বিদ্বেষীমহল সন্দেহ সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, সেগুলোতে আমার নিজের বিশ্বাস আরো পাকাপোক্ত হয়। আর ইসলামের বিধানে যুক্তি খুঁজতে যাবার দুঃসাহস দেখাইনি, যেটা খুঁজতে গিয়েছি সেটা হল – কারণ শায়খুল হাদিস মাওলানা যাকারিয়া কান্ধলভী মাদানী রহঃ এর একটি কথা আমাকে এ কাজে প্রেরণা দিয়েছেঃ “পবিত্র শরীয়তের প্রত্যেকটি হুকুমের মধ্যে যেমন সীমাহীন খায়ের-বরকত ও সাওয়াবা রহিয়াছে, তেমনিভাবে উহার মধ্যে বহু প্রকার কল্যাণও নিহিত রহিয়াছে। যাহার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার; কারণ আল্লাহ তা’আলার অসীম জ্ঞান ও উহার মধ্যকার কল্যাণ উদঘাটনের সাধ্য কাহার আছে? তথাপি নিজ নিজ যোগ্যতা ও হিম্মত অনুপাতে প্রত্যেকের জ্ঞানের পরিধি হিসাবে উহার কল্যাণও বুঝে আসে। যাহার যত যোগ্যতা বেশি হয় ততই শরীয়তের হুকুমে নিহিত গুণাগুণ ও উপকারিতা বুঝে – আসিতে থাকে” । (ফাযায়েলে আমাল, পৃষ্ঠা ৭৬)
তার মানে শরীয়তের হুকুমের কল্যাণ বুঝা সম্ভব। অধমের স্বল্পজ্ঞান ও অযোগ্যতা নিয়ে একাজ করার উদ্দেশ্য একটাই— যদি কোন জ্ঞানী ও যোগ্য ব্যক্তি পর্যন্ত আমার এ আহবান পৌঁছে, না জানি তাঁর গবেষণা থেকে কত রহস্য উম্মত জানতে পাবে, না জানি কত দুর্বল মুসলিমের ঈমান বেঁচে যাবে | দ্বিতীয়ত, মনে হয়েছে অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও বাকস্বাধীনতার নষ্টামীর এই যুগে এমন কিছু ভাবনার সংকলন দরকার যা প্রতিটি মুসলিমের সংগ্রহে থাকা চাই। কেননা প্ৰাচ্যবিদদের (বিধমী ইসলামগবেষকদের) পুরনাে প্ৰলাপই নতুন মোড়কে আসছে। সেই জংধরা অস্ত্ৰেই ঘায়েল হচ্ছে আমাদের সন্তানদের অপকু দুর্বল ঈমান। মূলত বইটা আগে আমাদেরই জন্য লেখা, ওদের জন্য পরে। সামান্য এই কাঁটা বিষয় সম্পর্কে প্রতিটি আর শেষদুটাে গল্প তো শুধুই আমাদের জন্য। মাগদূর্ব ও দ্বোয়াল্লিন’এর পথে যারা আমরা হেঁটে “আন’আমতা আলাইহিম’এর পথ ছেড়ে দিয়েছি।
তৃতীয়ত, ওদেরকে আমি দুইভাগে ভাগ করি। তৎসম নামধারী আর আরবি নামধারী। তৎসম নামধারীরা হিন্দুধর্মের বিকৃতি ও অসাড়তা বুঝে নাস্তিকতা অর্জন করেছেন। ইসলামকেও ঐরকমই কিছু একটা ভেবে নিয়েছেন, বা আরবি নামধারী নাস্তিকদের চোখেই ইসলামকে চিনে ঋণাতক ধারণা পোষণ করছেন। এই বই ওনাদের জন্যও কারণ তাঁরা আসলেই সত্য খুঁজতে যেয়ে নাস্তিক হয়েছেন। তৎসম নামের নাস্তিকরা সত্যের অনেক কাছাকাছি। ওনাদের জন্য আমার বুকভরা দুআ আর একটু বন্ধু, এই সামনের মোড়ের পরেই তোমার গন্তব্য।
চতুর্থত, আরবি নামধারী নাস্তিক।এনাদের নাস্তিকতা অর্জনের কারণ প্রবৃত্তি বা ঝোঁক এমন একটা দিকে তাদের আকর্ষণ বা ঝোঁক, যা ইসলাম অনুমোদন দেয়না। হয় সে সমকামী, না হয় ব্যভিচারী, না হয় মা-বোনকে নিয়ে যৌন ফ্যান্টাসিতে ভোগে, বা মদ-গাঁজা টানে, নয়তো বহুপুরুষগামিনী- দেখবেন কোন একটা নীতিবিরোধী ও মানবতাবিরোধী কিছুতে সে লিপ্ত যা সে ছাড়তে চায়না। এজন্যই ইসলামকে সে শত্রু। হিসেবে নেয় কারণ উপায় নেই যে তখন তার কাজই হয় ইসলামের খুঁত খুঁজে বের করে প্রচার করা। খুঁজতে গিয়ে সে পেয়ে যায় পশ্চিমা ঐতিহাসিকদের কিছু প্ৰলাপ, টেপ রেকর্ডার। ইসলামের দিকে তাক করা বাঁধা কয়েকটা প্রশ্ন। এর ভিতরেই তার ঘুরপাক, অপলাপ, প্রপাগান্ডা। যেগুলোর উত্তর দিতে গিয়ে আমরা মুসলিমরা হিমশিম খেয়েছি। এড়িয়ে যেতে চেয়েছি। এসব প্রশ্ন যে আমাদের মনেও আসেনা তা নয়। কেউ ওদের জালেই ফেসে গিয়েছে। এই বই ওদের জন্যও। তবে যারা কুরআন তারা এই বইয়েও খুঁত বের করবে। এটাই স্বাভাবিক। ওদের জন্য আমার বুকফাটা দুআ । তবে হ্যাঁ, এই বইয়ের খুঁত গ্রহণযোগ্য হবে নিচের শর্তসাপেক্ষেঃ
১। আইন বিষয়ে আইন পড়ুয়ার মন্তব্য গ্রহণযোগ্য। বিজ্ঞান বিষয়ে বিজ্ঞান ফ্যাকাল্টির কেউ হতে হবে। একইভাবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের রেফারেন্স কর্তন করতে হলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ব্যক্তি হতে হবে।
২। দাসপ্রথা- দাসীপ্রথা এসব সমাধান জাতীয় বিষয়ে শুধু সমালোচনা গ্রহণযোগ্য নয়। বিকল্প প্রস্তাব দিতে হবে। যে উদ্দেশ্যগুলো পূরণ করে ইসলাম সমাধান দিয়েছে ঐ সবগুলো উদ্দেশ্য পূরণ করে এমন বিকল্প সমাধান প্ৰস্তাব করতে হবে। উদ্দেশ্যগুলোর কথা গল্পে বলেছি।
৩। জিযিয়া-মানবধর্ম-বনু কুরাইযা-শ্রেণিবৈষম্যহীন সমাজ – এ বিষয়ে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ছেড়ে একপাল্লায় জবাব দিতে হবে। সেকুলার সিস্টেমে হলে ঠিক আছে, ইসলাম করলে দোষ— এই বুলি ছেড়ে ম্যাচিউরড জবাব লাগবে
৪ । কোন তথ্য ভুল প্রমাণ করতে চাইলে সঠিক, যাচাইযোগ্য রেফারেন্স দিতে হবে। এখানে আমি সব যাচাইযোগ্য রেফারেন্স দিয়েছি। এখন আপনি যদি CIA এর সংরক্ষিত ওয়েবসাইটের reference দেন।তাহলে হবেনা। আর এড়িয়ে যাবনা সময় এসেছে পালটা ধাওয়ার ও দুআরা। নাস্তিকদের জন্য দুআ, আর নাস্তিকতার জন্য ধাওয়া। আমি কিছু ভাবলাম। ভাবনায় অসম্পপূর্ণতা আছে। মানবীয় ত্রুটি আছে। আপনারাও ভাবুন। নতুন অ্যাঙ্গেল থেকে ভাবুন। শব্দের পর শব্দ গেথে নতুন অস্ত্ৰ বানান ছড়তে থাকুন। ইতিহাসের ভাগাড়ে ঠাঁই হােক ইসলামবিদ্বেষের।
এটা প্রথম পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ— “ডাবল স্ট্যান্ডার্ড পরেরটা আরো ধারালো, আরো জোরালো, হয়ত আরো ভয়াবহ। দুআ চাই।
(দৃশ্যপটের প্রয়ােজনে কখনাে গান,তাস খেলা, ফ্রি মিক্সিং এসেছে। সামনে এধরনের জিনিস আরো আনবো। যাতে যুবসমাজের সময় ও আগ্রহের যে অপচয়, বর্তমান যে অবস্থা- তা স্পষ্ট হয়। আর ইংরেজি শব্দ বারবার এসেছে, কারণ বাংলা অর্থটির চেয়ে এগুলো এখন জেনারেল শিক্ষিত মহলে বেশি ব্যবহৃত হয়। যেখানে বাংলার চেয়ে ইংরেজি শব্দে মনের ভাব প্ৰকাশ বেশি হয় মনে করেছি। সেখানে ইংরেজি শব্দটাই ব্যবহার করেছি। আশাকরি দৃষ্টিকটু লাগবে না।
বান্দা শামসুল আরেফীন
Be the first to review “ডাবল স্ট্যান্ডার্ড স্ট্যা ডা. শামসুল আরেফীন” Cancel reply
Related products
-
আমি হতে চাই সিরিজ (শিশুতোষ নৈতিক গল্প সিরিজ ৬ খন্ড)
0 out of 5₹550.00 Add to cart -
Sale!
তোমাকে বলছি হে যুবক (ড. মুহাম্মাদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী)
0 out of 5₹300.00₹180.00 Add to cart -
আত তামরিন আল কিতাবী আলা তারেকু ইলাল আরাবীয়াহ
0 out of 5₹110.00 Add to cart -
হালাল বিনোদন বিনোদনের ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি, পরিসর ও সীমারেখা
0 out of 5₹120.00 Add to cart
Reviews
There are no reviews yet.